টেসলা ৫জি স্মার্টফোন লঞ্চ হয়েছে – ১৬জিবি র্যাম, ৫১২জিবি স্টোরেজ এবং ১০০ওয়াট ফাস্ট চার্জিং
টেসলা অবশেষে স্মার্টফোনের জগতে পা রাখলো! তাদের প্রথম ৫জি ডিভাইস, টেসলা পাই ম্যাক্স, লঞ্চ হয়েছে। গাড়ি এবং এনার্জি সেক্টরে ইনোভেশনের জন্য বিখ্যাত টেসলা এখন প্রিমিয়াম স্মার্টফোন মার্কেটে ঢুকছে। এই ফোনটি অ্যাপল, স্যামসাং এবং ওয়ানপ্লাসের ফ্ল্যাগশিপ মডেলগুলোর সাথে সরাসরি টক্কর দিতে তৈরি। পাওয়ারফুল স্পেক্স, ফিউচারিস্টিক ডিজাইন আর অত্যাধুনিক ফিচারসমূহ নিয়ে এটি আসছে। আমি যখন এই ফোনের খবর শুনলাম, তখনই ভাবলাম, টেসলা তো গাড়িতে বিপ্লব এনেছে, এবার ফোনে কী করে দেখায়?
ডিসপ্লে এবং ডিজাইন
টেসলা পাই ম্যাক্সে আছে ৬.৭৮ ইঞ্চির কিউএইচডি+ অ্যামোলেড ডিসপ্লে, যার রিফ্রেশ রেট ১৪৪হার্জ। এতে ছবি এতটা ক্লিয়ার আর স্মুথ যে, গেম খেলা বা ভিডিও দেখার সময় মনে হয় যেন জীবন্ত। এইচডিআর১০+ সাপোর্ট আর গরিলা গ্লাস প্রোটেকশন থাকায় ডিউরাবিলিটিও দারুণ। মেটাল-গ্লাস বডি, স্লিম বেজেলস – সব মিলিয়ে ফোনটি দেখতে একদম প্রিমিয়াম। আমার মতে, যারা স্টাইলিশ গ্যাজেট পছন্দ করেন, তাদের জন্য এটি পারফেক্ট। ডিজাইনটা এমন যে, হাতে নিলে লাগে যেন ভবিষ্যতের কোনো ডিভাইস।ব্যাটারি এবং চার্জিং
এই ফোনের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো ৬০০০এমএএইচের বিশাল ব্যাটারি। সাথে ১০০ওয়াট ফাস্ট চার্জিং, যাতে ০ থেকে ১০০ পার্সেন্ট চার্জ হয়ে যায় মাত্র ৩০ মিনিটের কম সময়ে। যারা সারাদিন গেমিং, স্ট্রিমিং বা কাজ করে, তাদের জন্য এটি একদম নির্ভরযোগ্য। আমি নিজে অনেক ফোন ব্যবহার করেছি, কিন্তু এমন ব্যাটারি লাইফ খুব কম দেখেছি। টেসলার এনার্জি এক্সপারটাইজ এখানে কাজে লেগেছে, যাতে পাওয়ার ইফিশিয়েন্সি অসাধারণ। দিনের শেষে ব্যাটারি নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।পারফরম্যান্স এবং স্টোরেজ
পারফরম্যান্সে টেসলা কোনো কমতি রাখেনি। ১৬জিবি র্যাম আর ৫১২জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ দিয়ে মাল্টিটাস্কিং সুপার স্মুথ। অ্যাপস, গেমস বা ডেটা – সবকিছুর জন্য জায়গা প্রচুর। টেসলার কাস্টমাইজড প্রসেসর এআই অপটিমাইজড, যাতে পাওয়ার সেভ হয় এবং স্পিড থাকে দুর্দান্ত। ভারী ইউজেজেও ল্যাগ নেই। আমার অভিজ্ঞতায় বলতে পারি, এমন পারফরম্যান্স অনেক ফ্ল্যাগশিপ ফোনকেও হার মানায়। যারা প্রোডাকটিভিটি চান, তাদের জন্য আইডিয়াল।ক্যামেরা ফিচারস
ক্যামেরায় টেসলা পাই ম্যাক্সে ট্রিপল সেটআপ – প্রাইমারি ১০৮এমপি সেন্সর, যা ছবি তোলে অত্যন্ত শার্প। আল্ট্রা-ওয়াইড আর টেলিফটো লেন্স দিয়ে ফটোগ্রাফি বৈচিত্র্যময়। সেলফির জন্য ৪৮এমপি ফ্রন্ট ক্যামেরা, যা ৪কে ভিডিও রেকর্ড করে। নাইট মোড, পোর্ট্রেট মোড আর এআই এনহ্যান্সমেন্টস – সবকিছু আছে। আমি ফটোগ্রাফি ভালোবাসি, এবং এই ক্যামেরা সিস্টেম দেখে মনে হয়, মোবাইল ফটোগ্রাফিতে এটি স্ট্রং কম্পিটিটর। লো-লাইটে ছবি তোলায়ও দারুণ।কানেকটিভিটি এবং সিকিউরিটি
কানেকটিভিটিতে ডুয়াল ৫জি সিম সাপোর্ট, ওয়াই-ফাই ৬ই, ব্লুটুথ ৫.৩, এনএফসি আর ইউএসবি টাইপ-সি। স্পিড অসাধারণ। সিকিউরিটিতে ইন-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার আর অ্যাডভান্সড ফেস আনলক। সবকিছু সেফ এবং কনভিনিয়েন্ট। টেক এক্সপার্ট হিসেবে বলছি, এমন ফিচারসমূহ আজকালের ইউজারদের জন্য মাস্ট।